Type to search

জাতীয় বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন এবং ভারতের টানাটানি’

তিস্তার পানি বন্টন ইস্যু নিয়ে ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘China, India in tug of war over Teesta project in Bangladesh’ অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন ও ভারতের টানাটানি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তিস্তা নদী পুনরুদ্ধার এবং ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ভারতের সর্বশেষ প্রস্তাব এবং চীন ইতিমধ্যে একই প্রকল্পের জন্য আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রস্তাব করায় বেইজিং এবং নয়াদিল্লির মধ্যে এক ধরণের উত্তেজনার পরিস্থিতি হতে পারে।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বিষয়টি উঠে এসেছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের মন্ত্রীর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আগে, ভারত বাংলাদেশের উত্তরে প্রস্তাবিত তিস্তা নদীর ব্যাপক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল, যেখানে চীন ইতিমধ্যে একশো কোটি ডলার ব্যয় করে প্রকল্পের জন্য একটি সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে।

ঢাকা ইতিমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বেইজিংয়ের সমর্থন চেয়েছে। তবে বাংলাদেশ ভারতের সাথে তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করবে।

নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে। যার কারণে দেশের উত্তর অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

ভারতের উজানে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের কারণে তিস্তা প্রায় শুকিয়ে যায়, এতে বর্ষাকালে যখন নদী উপচে পড়ে, তখন বাংলাদেশে ঘন ঘন বন্যা দেখা দেয়।

কেননা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রায়ই পানির চাপ বন্ধ করার জন্য গাজলডোবা ব্যারেজে ফ্লাডগেট খুলে দেয় বলে খবরে বলা হয়েছে।

একই ইস্যুতে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘পানির হিস্যা না পেলে ভারতকে দেয়া সুবিধা পুনর্বিবেচনা করুন’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ যদি তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পায় তাহলে ভারতকে ট্রানজিটসহ যেসব সুবিধা দেয়া হচ্ছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘বাংলাদেশ-ভারত পানি বণ্টন : অভিজ্ঞতা, শঙ্কা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে তারা এ কথা বলেন। পানিকে বাংলাদেশের কূটনীতির কেন্দ্রে নিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়েছে, তিস্তার বাংলাদেশ অংশের পানি সংরক্ষণের জন্য ভারতের প্রস্তাবটি যথাযথ না। বাংলাদেশে এ ধরনের পানি সংরক্ষণের সুযোগ নেই, এর ফলে পরিবেশগত ও সামাজিক সমস্যা আরো বিপর্যয়কর হবে।

এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য চীন, ভুটান ও নেপালের মতো তৃতীয় পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করার তাগিদ দেয়া হয়।-বিবিসি

এবিসিবি/এমআই

Translate »