সিলেট ও সুনামগঞ্জে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি, দেখা দিচ্ছে সুপেয় পানির সংকট

বৃষ্টি ও উজানের ঢল অব্যাহতের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শহর ও গ্রামের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। হাটবাজার প্লাবিত হয়েছে। এতে পাঁচ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের অফিস, সদর উপজেলা পরিষদের আঙিনায় উঠেছে পানি। তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ‘শাহ আরেফিন মৈত্রী সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে প্রবল স্রোতে ২টি গার্ডার ভেঙে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ- কাজের মান ভালো হয়নি বিধায় গার্ডার ২টি ভেঙে পড়ে। শুক্রবার (১৭ জুন) প্রায় সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেন, কানাইঘাটে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার, সিলেটে ৪৪ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ শহরের কাছে ষোলঘরে ৫০ সেন্টিমিটার এবং গোয়াইনঘাটে সারি নদীর পানি ৫৪ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারার পানি ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকালে কানাইঘাটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে বিভাগীয় শহর সিলেটে রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ডুবে গেছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৫০ ভাগ বাসায় পানি উঠেছে। ছাতক উপজেলার অবস্থা ভয়াবহ। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জে ডুবে গেছে সিলেট-ছাতক রেল লাইন।
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত ১৩ উপজেলা। তলিয়ে যাওয়া এলাকার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সুনামগঞ্জে গত মঙ্গলবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলার কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তা, গোয়াইনঘাট, সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় পানি বাড়ছে।
দুই জেলায় অন্তত পাঁচ লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। দেখা দিচ্ছে সুপেয় পানির সংকট।
এবিসিবি/এমআই