ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: দুই সংঘাতের প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি কম প্রেসিডেন্ট বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুটি সংঘাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। প্রধান মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন-ইসরায়েলের অস্ত্র ও বুদ্ধিমত্তা সহযোগিতা চাওয়ার শেষ নেই। বাইডেনও এই দুই সংঘাতে অস্ত্র ও প্রযুক্তি সহায়তায় প্রধান ভূমিকা রেখেছেন। তবে এসব দেওয়ার মাধ্যমে দেশ দুটির ওপর তাঁর যে প্রভাব থাকার কথা, সেই তুলনায় প্রাপ্তি কম বলে মনে হচ্ছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
গাজায় ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে এক মাস ধরে। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ২০ মাস ধরে। ১০ দিন ধরে বাইডেন প্রশাসন গাজায় বোমা হামলায় ‘মানবিক বিরতি’ দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অনুরোধ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বছরে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার নিরাপত্তা সহায়তা দেয়। ইসরায়েলি নেতার কৌশলের ওপর এটি প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
নেতানিয়াহু গত সোমবার একটি ফোনকলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে বাইডেনের বড় চাপকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে বিশাল বোমা ব্যবহার করা এমনকি গাজার আশপাশের এলাকাগুলো ধ্বংস করে হলেও তিনি অভিযান চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ইউক্রেন ও ইসরায়েল– উভয় দেশের ক্ষেত্রেই অস্ত্র ও বুদ্ধিমত্তা সরবরাহকারী হিসেবে প্রধান সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে তার মিত্ররা কীভাবে যুদ্ধের অবস্থা বিচার করে, এর ওপর বাইডেনের প্রভাব প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সীমাবদ্ধ বলে মনে হয়। কিন্তু ইসরায়েল ও ইউক্রেনের মুক্ত ও স্বাধীন জাতি থাকুক এ আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই চিন্তা থেকে যুক্তরাষ্ট্র উভয় সংঘাতের সঙ্গে বেশি যুক্ত হওয়ায় পরবর্তী রাষ্ট্রপতি দেশগুলোতে কীভাবে কাজ করেন এবং কীভাবে যুদ্ধ শেষ হয় তার সঙ্গেও জড়িত।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘অচলাবস্থা’র কথা বলেছিলেন। এ জন্য এক জেনারেলকে তিরস্কার করা ছাড়াও নতুন করে অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরঞ্জামের বেশির ভাগই খুব দেরিতে পৌঁছেছে। ফলে প্রয়োজনীয় প্রভাব তৈরি করা যায়নি। কিন্তু এসব অস্বীকার করেছে বাইডেন প্রশাসন। তাদের দাবি, ব্যবহারে সক্ষম হওয়ার পরই তাদের সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ম্যাসাচুসেটস ডেমোক্র্যাট এবং সাবেক মেরিন সেথ মাল্টন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, ইসরায়েলের ওপর ততটা সুবিধা পান না– যতটা তারা আশা করেন। তিনি বলেন, এটি ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এবিসিবি/এমআই