পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে যা বললেন প্রেসিডেন্ট পুতিন

রাশিয়া আগ বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানান, রাশিয়ার উপর আক্রমণ করা হলেই শুধুমাত্র এই ধরনের অস্ত্র দিয়েই প্রতিশোধ নেওয়া হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ার মানবাধিকার কাউন্সিলের বার্ষিক সভায় পুতিন এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিন দিন বাড়ছে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই হুমকি গোপন রাখা ভুল হবে। অন্য কোনো দেশে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন নেই। তবে তুরস্কসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্কসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।পুতিনের ভাষ্যমতে, ইউক্রেনের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারে। কিন্তু এরই মধ্যে রাশিয়া যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ফল অর্জন করেছে। ফলস্বরূপ তিনি রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের একীকরণকে বোঝান। এই চারটি অঞ্চল হল ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া।
পুতিন উল্লেখ করেছেন, আজভ সাগর রাশিয়ার ‘অভ্যন্তরীণ সমুদ্র’ হয়ে উঠেছে কারণ অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজভ সাগর দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেন ও দক্ষিণ পশ্চিম রাশিয়ার সীমানায় অবস্থিত। এটি রাশিয়ান শাসক পিটার দ্য গ্রেটের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও ছিল।
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোল্টজ মনে করেন, মস্কোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি কমেছে। জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আপাতত একটা জিনিস বদলেছে। অর্থাৎ রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই এমনটা হয়েছে।
এবিসিবি/এমআই