অস্ট্রেলিয়ার ‘ট্রাম্প’ হতে চেয়েছিলেন ডাটন, ভরাডুবির যে কারণ

যদিও ডাটন এই তুলনা অস্বীকার করেছেন। তবে, লিবারেলদের নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের প্রভাব ফুটে উঠতে দেখা যায় বলে জানায় গণমাধ্যম। কেবল নীতি নয়, দলীয় অবস্থানেও ছিল মার্কিন রিপাবলিকানদের ছায়া। জোট সরকারের তরফে ‘গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করা হয় জাসিন্তা নাম্পিজিনপা প্রাইসকে। যিনি প্রকাশ্যে এমএজিএ টুপি পরে ছবি তোলেন-যা অস্ট্রেলীয় রাজনীতিতে বিরল এক দৃষ্টান্ত।
এছাড়াও, ডাটনের প্রতিশ্রুতি ছিল ৪০ হাজার সরকারি চাকরি কমানো। যা শুনে অনেকেই স্মরণ করেন ইলন মাস্কের ডিওজিইর কথা। এরপর যদিও জনরোষে পড়ে তিনি নিজেই সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন।
ট্রাম্পের মতোই ডাটনও কর ছাড়, প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানো, স্বাস্থ্য খাতে বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের মতো বিপুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রচারণার সময়। আবার একই সঙ্গে বলেছেন সরকারি ব্যয় কমানোর কথা। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী বার্তা ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কারোপ আর বেপরোয়া নীতিমালা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে, তেমনি ডাটনের কথিত ট্রাম্প-ঘেঁষা অর্থনীতি নিয়ে অস্ট্রেলীয়দের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক আর বাণিজ্য যুদ্ধ বিষয়ে ডাটন স্পষ্ট কোনো মতামত দিতে পারেননি। এ অবস্থায়, ডাটনের এই পরাজয়কে অনেকেই দেখছেন ট্রাম্পীয় রাজনীতির হার হিসেবে।
নিউজ২৪বিডি