Type to search

অপরাধ

রাজশাহীতে নারী আইনজীবীকে ধর্ষণের অভিযোগে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক আটক

জেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফির অভিযোগে এক ডাক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ডাক্তারের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ তিনি।

রাজশাহী মহানগরীরর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, চিকিৎসক রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তবে ওই নারী আইনজীবী অবিবাহিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় তার বাড়ি। আর ডাক্তার রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। তিনি রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। ওই নারী নগরীর কোর্ট এলাকায় বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন। রাজশাহী জেলা জজ আদালতে তিনি শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।

ধর্ষণের শিকার নারীর দাবি করেন, ‘প্রায় দেড় বছর আগে চিকিৎসক রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছু দিনের মধ্যেই রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন তাকে কৌশলে ধর্ষণ করে সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে ধর্ষণ করা হচ্ছিল তাকে।’

ওই নারীর বরাত দিয়ে রাজপাড়া থানার ওসি আরও বলেন, আজ শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে চিকিৎসক রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এ সময় ওই নারী আইনজীবীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। এ ছাড়া আশপাশের লোকজনকে তিনি বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই ডা. রানাকে আটক রাখেন। পরে তাকে পুলিশ গিয়ে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে এবং ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।

ওসি শাহাদাত হোসেন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘কিছু পর্ণো ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারী আইনজীবী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে ডাক্তার পুলিশের কাছে দাবি করছেন, জোর করে নয় বরং প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের। তবে থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ডাক্তারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

Translate »