ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা লেবাননে পৌঁছেছে
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক সহায়তা লেবাননে এসে পৌঁছেছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমান সহায়তা সামগ্রী নিয়ে রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে।
লেবাননের এ দুঃসময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে লেবাননের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠায়।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি পরিবহন বিমান ৯ টন খাদ্যসামগ্রী, ২ টন ওষুধ ও ওষুধ সামগ্রী নিয়ে বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১২ জন ক্রু বিমানে ছিলেন।
লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি লেবানন সরকারের মনোনীত স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশ সরকারের উক্ত মানবিক সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করেন বলে লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব (শ্রম) দূতালয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন, লেবাননের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, তৃতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল সাফি, ইউনিফিলের কর্মকর্তা ও বৈরুত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
৪ আগস্ট বিকাল ৬টার দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বৈরুত পোর্টসহ বৈরুত এবং এর দশ কিমি. পরিসীমায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২০০ জনের বেশি নিহত হন এবং ৬ হাজারের অধিক লোক আহত হন। এছাড়া গৃহহারা হন প্রায় ৬ লক্ষাধিক লোক।
লেবাননের জলসীমায় ইউনিফিলের (UNIFIL) অধীনে পাহারারত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস বিজয় ওই সময় বিস্ফোরণে আংশিকভাবে ক্ষতিসাধিত হয় এবং জাহাজে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ জন কর্মকর্তা ও নাবিক আহত হন। এছাড়া বিস্ফোরণে লেবানন প্রবাসী ৫ বাংলাদেশি নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক।
দূতাবাসের সহযোগিতায় আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয় এবং মৃতদের লাশ যত দ্রুত সম্ভব স্বজনের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান।