স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক ডা. লতিফ মারা গেছেন
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (হোমিও ও ভেষজ চিকিৎসা) ডা. এফ বি এম আবদুল লতিফ মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের আইসিইউতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানুল ইসলাম নির্ঝর বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের কুর্শী ইউনিয়নের কৃতী সন্তান ডা. এফ বি এম আবদুল লতিফ (৬০) মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. লতিফ চাকরি জীবনে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বগুড়ার আইএসটিতে ল্যাব-মেডিসিন বিভাগের প্রধান, কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়, বগুড়ার সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ ঢাকায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন।
দীর্ঘদিন বগুড়ায় চাকরির সুবাদে বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মালতী নগরে বাসা করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।
তিনি ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকা থেকে বগুড়ার বাড়িতে যাওয়ার পর তার শ্বাসকষ্ট ও করেনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। গত ৪ আগস্ট তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার করোনা নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও ক্লিনিক্যাল পজিটিভ ধরা হচ্ছে।