আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
শনিবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর গণঅধিকার পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল নয়। এটি একটি খুন মাফিয়া গণহত্যাকারী গোষ্ঠী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই হাজার ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আরও ৩০ হাজার যোদ্ধা আহত হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার আহতদের পুনর্বাসন করতে পারেনি। অনেক উপদেষ্টার নামও আমরা ঠিকমতো জানি না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এতদিন হলো দায়িত্ব পালন করছেন এখনো বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক করতে পারেননি। যখন ডেভিল হান্ট শুরু হয়েছে, চোরগুলো তখন ভারত, আমেরিকা, ইউরোপে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যারা করেছে তারা কয়জন ভালো মানুষ ছিল? ওদের আবার কিসের ক্লিন ইমেজ। যারা সাধারণ ছিলো, ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালায় নাই। তাদের ওপর আমরা জুলুম করব না, ছাড় দিব তাদের কিন্তু সেটা গণহত্যার বিচারের পরে।
তিনি বলেন, সুশীল বিপ্লবীরা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে চাচ্ছেন। অন্যের হক মেরে নিজেরা কোটিপতি হব। এ জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। সমন্বয়ক নামধারী কিছু ছাত্র ওয়াসাসহ বিভিন্ন কেলেংকারি সামনে এসেছে। আমরা এগুলোর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এখনো সময় আছে এগুলো বন্ধ করে জনগণের রাজনীতি করেন। এবার আমাদের হাতে শেষ সুযোগ। বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে টালবাহনা করলে মানুষ মানবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের কথা আসলেই উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনকে দেখে শিক্ষা নেন। আওয়ামী লীগের স্টাইলে রাজনীতি করলে আমাদের পতনও আওয়ামী লীগের মতই হবে।
সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক খান বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ঝটিকা মিছিল বের করার পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের দায় রয়েছে। ডানে বায়ে চতুর্দিকে আওয়ামী লীগের দোসররা আছে বলেই তারা দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এখনো তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি। বিচার করার জন্য যে হিম্মত থাকা দরকার, তা এই সরকারের নেই।
-যুগান্তর