সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু: এসআই আকবরকে পালাতে সহায়তাকারীদের শনাক্তে কমিটি গঠন
জেলা প্রতিনিধিঃ সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেনকে পালাতে সহায়তাকারীদের শনাক্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি পুলিশ সদর দফতর গঠন করেছে।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) রেজাউল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে গঠন করা হয় ৩ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি।
পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এআইজি (ক্রাইম অ্যানালাইসিস) মোহাম্মদ আয়ুবকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য ২ সদস্য হলেন- সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম, এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মুনাদির ইসলাম। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এস আই আকবর পলাতক হওয়ার সাথে কোনো পুলিশ সদস্যের দায় আছে কিনা এই কমিটি তা তদন্ত করবে। আগামীকাল বুধবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হান হোসেনের মৃত্যু হয়। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে তিনি কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী।
নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ফরেনসিক ফলাফলে। এসব আঘাতের ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন ও ৯৭টি ফোলা আঘাত। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হান হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।