বাংলাদেশে সেনা অফিসার হত্যা ও নিঁখোজ কেন ?
ফাইল ছবি
আবুল কালাম আজাদ খোকন :
পিলখানায় ৫৭ সেনা অফিসার হত্যাকান্ড:
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ওই বাহিনীর ৭৪ সদস্য হত্যাকান্ডের বিচারের নামে একটি প্রহসন চলছে। মূল হোতারা পর্দার অন্তরালেই রয়ে গিয়েছে ১১ বৎসর যাবৎ।
বিগ্রেডিয়ার (অব:) আমান আযমী নিঁখোজ:
বর্তমান সরকার আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দিয়েছে। পরে ২০১৬ সালের অগাষ্ট মাসে রাত ১২টার দিকে ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে তাঁকে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আটক করা হয়। বিগ্রেডিয়ার (অব:) আবদুল্লা হিল আমান আযমীর নিঁখোজ হওয়ার চার বৎসর পূর্ণ হলো।
লে: জেনারেল (অব:) হা. সারওয়ার্দী নিঁখোজ:
২০১৮ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী অবসর নেন। ২০১৯ সালের মার্চের শেষের দিকে তাকে সকল সেনানিবাসে প্রবেশে ‘অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। কারণ একটি টকশোতে আওয়ামীলীগ ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন এবং সেনাবাহিনীর কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। টকশোতে সাক্ষাৎকারের পর পরই ওনি নিঁখোজ।
মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো: রাশেদ খুন:
গত ৩১শে জুলাই পুলিশের গুলিতে মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো: রাশেদ নিহত হয়। দেশব্যাপী এই ইস্যু নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির পর পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের প্রেস কনফারেন্স নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হয়েছে। সামনে সিনহা হত্যা মামলার রায়ে জনগণ কতটা আশ্বস্ত হতে পারবে?
রাষ্ট্রযন্ত্রের ইশারা ব্যতিত কি এ সকল নিঁখোজ ও হত্যাকাণ্ড হয়েছে? নাকি অন্য দেশের বা কোন গোয়েন্দা সংস্থার মদদ ছিল? এমনি আর কত পরিবারের বুক খালি হবে? হত্যার বিচার চেয়ে জনগণ শুধু ধুঁকে ধুঁকে কাঁদবে?
রাজনীতিবিদরা সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলুক। দলের উর্ধ্বে দেশ। আগে দেশকে রক্ষা করি। পরিশেষে বলবো- দেশের জণগণ ফিরে পাক প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরাপদ জীবন।
(এটি লেখকের নিজস্ব মতামত । মতামতের জন্য সম্পাদক দ্বায়ী নয়।)