Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

ইসরাইল-ইরান সংঘাতে ট্রাম্পের অবস্থান ‘ঝুঁকিপূর্ণ পথে’

ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে যখন তীব্র বিতর্ক চলছে, তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান ক্রমশ জটিল ও রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে—এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বিবিসির হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা গ্যারি ও’ডোনাহিউ।

বিবিসির বিশ্লেষনে গ্যারি বলেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলা যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর চালানো হয়, তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একে ‘একতরফা ইসরাইলি সিদ্ধান্ত’ হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন এ বিষয়ে সরাসরি জড়িত নয়—এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন

কিন্তু এরপর ট্রাম্প নিজের অবস্থান পাল্টাতে শুরু করেন। তিনি হামলাকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং এতে ব্যবহৃত ‘অসাধারণ মার্কিন প্রযুক্তির’ প্রশংসাও করেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে মার্কিন সেনা সদস্যরা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এই অবস্থান দেশীয় রাজনীতিতে ট্রাম্পকে একটি জটিল পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে। রিপাবলিকানদের মধ্যে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন প্রবল, বিশেষ করে ট্রাম্পের নিজস্ব সমর্থকগোষ্ঠী ‘মাগা’ শিবিরে। তবে একই সঙ্গে বিদেশে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে ওই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই গভীর সন্দেহ ও সমালোচনা রয়েছে।

ইরানে ইসরাইলের হামলা, ট্রাম্প বললেন ‘চমৎকার’

ট্রাম্প নিজেও বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি ‘যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন, নতুন যুদ্ধ নয় শুরু করবেন।’ ইউক্রেন যুদ্ধ তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে পারবেন বলে দাবি করেছিলেন, পাশাপাশি গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

এমনকি চলমান সংকটের মাঝেই তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার সম্ভাবনা আবারও উত্থাপন করেছিলেন। তবে তেহরান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গেছে।

গ্যারি তার প্রতিবেদনে আরও বলেন, রাজনীতিতে কথা নয়, ডেলিভারিই মুখ্য। আর ট্রাম্পের জন্য বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে—নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করতে পারবেন তিনি।  এখন তিনি এমন এক অবস্থানে পৌঁছেছেন, যেখানে কূটনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান নেওয়া এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা—এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

-বিসিবি

Translate »