Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যায় ‘আস্থা’ নেই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫০০ জন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নিহতের এই সংখ্যায় তার ‘আস্থা’ নেই।

তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে ফিলিস্তিনিরা যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে তাতে আমার কোনো আস্থা নেই। তবে কেন তিনি ফিলিস্তিনিদের নিহতের পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দিহান তার কারণ বলেননি। খবর-আলজাজিরা

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসের রোজ বাগানে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৬,৫০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে।

এদিকে ১৭ অক্টোবর গাজার আল-আহলি আরাবি হাসপাতালে হামলার পর গাজা কর্তৃপক্ষের দেওয়া ৪৭১ জন নিহতের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেখানে নিহতের সংখ্যা ১০০ থেকে ৩০০ জনের মধ্যে বলে তাদের দাবি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৭৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তারা বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় একদিনে সর্বোচ্চ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। ১৯ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে আহত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪৩৯ ফিলিস্তিনি। এর আগে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় একদিনে সর্বোচ্চ ৭০৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার রেকর্ড হয়েছিল সোমবার।

অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৪০৫ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ৩০৮ সৈন্য ও ৫৮ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। এছাড়া হামাসের অব্যাহত হামলায় ইসরায়েলে আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজারের বেশি মানুষ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজার প্রায় ৩০ শতাংশ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। এসব হাসপাতালে আহত ও মুমূর্ষু রোগীদের আর চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ (১২টি) এবং ৭২টি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই (৪৬টি) বন্ধ হয়ে গেছে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »