ইসরায়েলের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করছে বিবিসি, নিজেদের শতাধিক কর্মীর চিঠি
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিবিসির ১০১ জন নাম প্রকাশ না করা কর্মীসহ মিডিয়া শিল্পের ২৩০ জনেরও বেশি সদস্য সই করেছেন।
চিঠিতে বিবিসিকে ‘কোনো ভয় বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই’ প্রতিবেদন করতে এবং ‘ন্যায্যতা, নির্ভুলতা ও যথাযথ নিরপেক্ষতার ওপর জোর দিয়ে সর্বোচ্চ সম্পাদকীয় মানদণ্ডে পুনরায় ফিরে আসার হওয়ার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বিবিসি, আইটিভি ও স্কাইয়ের মতো ব্রিটিশ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘নির্ভয়ে প্রমাণ অনুসরণ করাটা দায়িত্ব’।
চিঠিতে বিবিসিকে একাধিক সম্পাদকীয় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- ইসরায়েল বাইরের সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশাধিকার দেয় না তা পুনর্ব্যক্ত করা; ইসরায়েলি দাবির পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকলে এটি স্পষ্ট করা; নিবন্ধের শিরোনামে ইসরায়েল কোথায় অপরাধী তা স্পষ্ট করা; ২০২৩ সালের অক্টোবরের আগের নিয়মিত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটসহ সমস্ত সাক্ষাত্কারে ইসরায়েলি সরকার এবং সামরিক প্রতিনিধিদের দৃঢ়ভাবে চ্যালেঞ্জ করা।
চিঠিতে সই করা বিবিসির একজন বর্তমান কর্মী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে বিবিসির কভারেজের কারণে তাদের কয়েকজন সহকর্মী চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারে কখনো কর্মীদের এমন নিম্ন স্তরের আত্মবিশ্বাস দেখিনি। আমার অনেক সহকর্মী আছেন যারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিবিসি ছেড়েছেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেন না ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন সৎ। তাই আমরা অনেকেই ভয়ের মাত্রায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত বোধ করি।
বিবিসির আরেকজন জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রতি বিবিসির দৃষ্টিভঙ্গিতে ‘বিশাল বৈষম্য’ দেখা যায়। তাই প্রতিষ্ঠানের জন্য যে কাজ করেন, তার ওপর আস্থা হারাচ্ছেন।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে পক্ষপাতিত্বের জন্য বিবিসির সমালোচনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের ধাঁচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, প্রেস টিভি