Type to search

আন্তর্জাতিক

ভারতে দাড়ি-টুপি থাকলেই ‘সন্ত্রাসী’ তকমা

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার মুসলিমরা। কারণ, সেই ঘটনার পর থেকেই ভেঙে ফেলা হচ্ছে তাদের বাড়ি-ঘর। যাত্রাপথে করা হচ্ছে হেনস্তা। আবার শুধু পোশাক ও শারীরিক অবয়বের ভিত্তিতে করা হচ্ছে নির্যাতন।

পরিস্থিতি এমন যে— ভারতে এখন দাড়ি-টুপি রাখলেই দেওয়া হচ্ছে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা। এমনকি দেশটির মিডিয়া নিরাপরাধ মানুষগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপন করছে যেন, তারাই মূল অপরাধী।

সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এমনই এক ভুক্তভোগীর গল্প।

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ। কাশ্মীরের পুঞ্চ শহরের বাসিন্দা তিনি। ফারুক আহমেদের ভাই মোহাম্মদ ইকবাল গত ৭ মে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের সময় নিহত হন। ভাইয়ের সেই মৃত্যু এবং পরবর্তী সময়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যেতে হয় ফারুক আহমেদের পরিবারকে।

ফারুক আহমেদ জানান, তার ভাই ইকবাল পুঞ্চের জিয়া-উল-উলুম মাদ্রাসায় নিহত হন। সেখানে মূলত ইসলামি শিক্ষা দেওয়া হয়। তিনি ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানেই কাজ করতেন। তবে ইকবালের মৃত্যুতেই তার পরিবারের দুঃসময় শেষ হয়ে যায়নি।

ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইকবালকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিযুক্ত করে। এরপরই পুলিশ এক বিবৃতি দিয়ে সেই দাবি খণ্ডন করে।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমার ভাই শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু তারা (গণমাধ্যম) তার দাড়ি আর টুপি দেখে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দেয়’।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি ছিল আমাদের জন্য কাটা ঘায়ে নুন ছিটানোর মতো। আমরা ইকবালকে হারালাম, তারপর সংবাদমাধ্যম তার বদনাম করল। আফসোস মৃতরা কখনোই নিজেদের রক্ষা করতে পারে না’।

গণমাধ্যমের এমন অপপ্রচার নিয়ে ভারতের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নিউজলন্ড্রির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মনীষা পান্ডে বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রচারিত ভুল তথ্য ও তথ্য-প্রমাণহীন দাবির মাত্রা ছিল মর্মান্তিক’।

তিনি উল্লেখ করেন, দর্শকপ্রিয়তা অর্জনের জন্য চ্যানেলগুলোর মধ্যে কিছুটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি স্বাভাবিক। তবে সংঘাতের ‘উগ্র দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কভারেজের’ তীব্রতা ছিল নজিরবিহীন এবং ‘আমি এর আগে এমন কিছু দেখিনি’।

-বিবিসি

Translate »