Type to search

আন্তর্জাতিক

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আরও একটি মসজিদে হামলার পরিকল্পনা ছিল বন্দুকধারী টেরেন্টের

গত বছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুক হামলায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়। ওই হামলার ঘটনায় ২৯ বছর বয়সী ব্রেন্টন টেরেন্ট নামের এক অস্ট্রেলিয়ান শেতাঙ্গ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ ছাড়াও তার আরও একটি মসজিদে হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির আদালত।

আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে আদালতে এ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা বিবিসি

যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হতে পারে টেরেন্টকে। সম্ভবত তার প্যারোলে মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের শাস্তি এর আগে কখনও ঘোষণা করা হয়নি।

গত বছরের ১৫ মার্চ মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর টেরেন্ট এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

আদালতের শুনানিতে বলা হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ ছাড়াও আরও একটি মসজিদে হামলার তার পরিকল্পনা ছিল। তার মসজিদগুলো পুড়িয়ে ফেলারও পরিকল্পনা ছিল। যত বেশি পারা যায় সে মানুষ হত্যা করতে চেয়েছিল।

ক্রাইস্টচার্চ শহরের প্রধান আল নূর মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয়। অস্ট্রেলিয়ার গ্রাফটন মহল্লার অধিবাসী টেরেন্ট অনলাইনে ৭৩ পৃষ্ঠার একটি ম্যানিফেস্টো প্রচার করেন। টেরেন্ট হেলমেটে বসানো মাইক্রো ক্যামেরার মাধ্যমে তিনি হামলার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করেন। আল নূর মসজিদে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর সে কাছাকাছি লিনউড মসজিদে যান এবং সেখানেও নামাজরত মুসল্লিদের ওপর নৃশংস হত্যাকান্ড চালান।

৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যার চেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন টেরেন্ট।

করোনাভাইরাসের কারণে নিউজিল্যান্ডে কড়াকড়ি আরোপ করায় এই শুনানিতে কারো উপস্থিতি নেই। শুনানির সময় কারাগারের ধূসর পোশাকে ব্রেন্টন টেরেন্টকে দেখা গেছে। সে সময় তার আশেপাশে ৩জন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। টেরেন্টকে শুনানির সময় ভাবলেশহীন অবস্থায় দেখা যায়।

সর্বোচ্চ ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। তবে উচ্চ আদালতের বিচারপতি ক্যামেরুন মেনডার টেরেন্ট প্যারল ব্যতিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

Translate »