Type to search

খেলাধুলা

ফিরেই শীর্ষে সাকিব আল হাসান

জুয়াড়ির থেকে একাধিকবার পাওয়া অনৈতিক প্রস্তাব গোপন করেছিলেন, যে কারণে এক বছর নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। এই সময়ে ক্রিকেট খেলা তো দূরের কথা, ক্রিকেটীয় কোনো কর্মকাণ্ডেই অংশ নিতে পারেননি টাইগার অলরাউন্ডার। নিষিদ্ধ থাকার কারণে আইসিসি র‌্যাঙ্কিং থেকেও মুছে দেওয়া হয়েছিল তার নাম। ২৯ অক্টোবর সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে, মুক্ত সাকিব এখন মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। এর আগেই তাকে সুখবর দিয়েছে আইসিসি। মুক্তি মিলতে না মিলতেই এই বাঁহাতির নাম উঠেছে র‌্যাঙ্কিংয়ে, ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনি।

পাকিস্তান আর জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে বুধবার ওয়ানডের নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। সেখানে অলরাউন্ডারদের তালিকায় ৩৭৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাকিব আছেন শীর্ষে। নিষিদ্ধ হওয়ার সময়ও শীর্ষে ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর নিষিদ্ধ হওয়া মাত্রই তার নাম মুছে ফেলা হয়। র‌্যাঙ্কিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ক্রিকেটার এক বছর বা তার বেশি সময় নিষিদ্ধ হলে র‌্যাঙ্কিংয়ের বাইরে রাখা হয় তাকে। তিন সংস্করণেই র‌্যাঙ্কিং থেকে তাই কাটা পড়ে সাকিবের নাম। তখন ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে যান আফগানিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি।

সাকিব সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন বছর দেড়েক আগে। গত বিশ্বকাপে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিগ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটিই এখন পর্যন্ত এই অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে হয়ে আছে। গত বছরের অক্টোবরে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তো মাঠের বাইরেই ছিলেন। এই সময়ে ওয়ানডেতে তাকে টপকে যেতে পারেননি আর কোনো অলরাউন্ডার। নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগে সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৩৯৪। এ বছরের মার্চে তিনটা ওয়ানডে হাতছাড়া হওয়ায় এখন সেটি নেমে হয়েছে ৩৭৩। তবুও তিনি আছেন তার রেখে যাওয়া জায়গাতেই। র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের নাম উঠতেই তাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে দুইয়ে নেমে যেতে হয়েছে মোহাম্মদ নবিকে।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর বেশিরভাগ দলগুলোই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। করোনায় সেটি পিছিয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রার্দুভাবে লম্বা সময় তো মাঠে ক্রিকেটই ছিল না। তাই সাকিবের সঙ্গে ব্যবধানটা কমিয়ে আনার তেমন সুযোগ পাননি প্রতিদ্বন্দ্বী অলরাউন্ডাররা। সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর আফগানিস্তান যেমন এ পর্যন্ত মোটে তিনটি ওয়ানডে খেলেছে। সেটিও গত বছরের নভেম্বরে। যে কারণে দলটির তারকা অলরাউন্ডার নবি এ বছর একটিও ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাননি। তার রেটিং পয়েন্ট এখন ৩০১। তৃতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকসের পয়েন্ট ২৮১। ২৭৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে চার নাম্বারে আছেন তারই স্বদেশি বেন স্টোকস।

ওয়ানডেতে শীর্ষস্থান সাকিবকে ছেড়ে দিতে হলেও টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ অলরাউন্ডার এখন নবি। ৪৪৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সামনে কোনো টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ হলেই সেখানে নাম উঠবে সাকিবের, পরিষ্কার হয়ে যাবে এই দুই সংস্করণে তার অবস্থান। তবে ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে তিনি যৌথভাবে ২১তম স্থানে আছেন প্রাণের বন্ধু তামিম ইকবালের সঙ্গে। ১৬তম স্থানে থেকে এখন বাংলাদেশের সবার ওপরে মুশফিকুর রহিম। বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের অবস্থান ২৮। এখানে বাংলাদেশের সবার ওপরে মেহেদী হাসান মিরাজ (১৪তম)। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান আছেন ১৯তম স্থানে।

Translate »