Type to search

খেলাধুলা

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারল বাংলাদেশ

আমিরাতের কাছে হারের পর অধিনায়ক লিটন দাস যতই বলুন আত্মবিশ্বাসে চির ধরেনি, মাঠের ক্রিকেটে কিন্তু তা প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে ভালোভাবেই। সে সিরিজের দুঃসহ স্মৃতি পেছনে ফেলতে হলে পাকিস্তানে দারুণ কিছু প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে যেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ, তারপর কাজটা আরও কঠিনই হয়ে গিয়েছিল। লিটনের দল সে কঠিনেরে ভালোবাসতে পারেনি। স্বাগতিকদের ২০১ রানের জবাবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৪ রানে। ৫৭ রানে হেরে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে দলটা।

প্রথম ম্যাচকে তুলনায় আনলে দ্বিতীয় লড়াইয়ে বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্সে অবনতিই হয়েছে। আগের ম্যাচেও ২০১ রান হজম করতে হয়েছে বোলিংয়ে, করতে হলো আজও। তবে আজ একটা উইকেট কম দখলে নিতে পারল দলটা। আগের ম্যাচে ১৬৪ রান তোলা বাংলাদেশ আজ অলআউট হয়েছে ১৪৪ রানের করেই।

পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের মূল নায়ক ছিলেন সাহিবজাদা ফারহান। তিনি খেলেন ৪১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৪টি চার আর ৬টি ছক্কা। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে হাসান নওয়াজ  ২৬ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। মোহাম্মদ হারিসও ২৫ বলে করেন ৪১ রান।

বাংলাদেশের বোলিং ছিল অনেকটাই নিষ্প্রভ। হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব দুজনেই ২টি করে উইকেট নেন। তবে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে একমাত্র উইকেট পাওয়া রিশাদ হোসেনের বোলিং ছিল সবচেয়ে ব্যয়বহুল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান করেন ১৯ বলে ৩৩ রান। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। একমাত্র লড়াই করেন তানজিম হাসান সাকিব, যিনি ৩১ বলে করেন ৫০ রান।

ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৬.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ছিল মাত্র ৫৬ রানেই ৫ উইকেট। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুর চাপে পড়ে এক পর্যায়ে ১৪৪ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস।

এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। এখন শুধু একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিকরা।

-যুগান্তর

Translate »